সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় নারীসহ ৬জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৯শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের গড়গাঁও গ্রামে মরম মিয়ার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন-গড়গাঁও গ্রামের মরম মিয়া(৫০), তোরন মিয়া(৫৩), রেখা বেগম(৪৫), মনফর আলী(৬০), মতিন মিয়া(৫০), কুতুব উদ্দিন(৫০)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
গড়গাঁও গ্রামের কয়েকজন জানান- আমাদের পাশ্ববর্তি আগশ্বাসন গ্রামের শরিফ উদ্দিন নামের এক আত্বীয় আমাদের গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় বেড়াতে আসেন। গ্রামের মধ্যখানে তিনি আসামাত্রই তার মোবাইল ফোনটি আমাদের গ্রামের পাবেল মিয়া নিয়ে যায়।
এসময় বেড়াতে আসা শরিফ উদ্দিনের আত্বচিৎকারের গ্রামের বেশকিছু লোকজন ছুটে আসেন এবং পাবেলকে আটক করে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে পাবেলের লোকজনের সঙ্গে মরম মিয়ার লোকজনের কথাকাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর রাত ৯টায় পাবেলের পিতা জামাল মিয়া, চাচা কামাল মিয়ার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন লোক মরম মিয়ার বাড়িতে হামলায় চালায়।
এতে মরম মিয়াসহ ৫জন আহত হন। হামলাকারীরা বিভিন্ন অপরাধে সাথে জড়িত রয়েছেন বলে গ্রামের কয়েকজন জানান।
এব্যাপারে আগশ্বাসন গ্রামের শরিফ উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আমি গড়গাঁও গ্রামে আত্বীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বের হই।
গড়গাঁও গ্রামের মধ্যখানে যাওয়ার পর একজন লোক আমাকে পেয়ে আমার মোবাইল ফোন দিয়ে সে অন্যজনের সঙ্গে জরুরী কথা বলতে চায়। এসময় আমি সরল বিশ্বাসে তাকে আমার ফোন দিয়ে কথা বলতে দেই। সে ফোনে কথা শেষ করে আমার ফোনটি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় আমার আত্বচিৎকারে গড়গাঁও গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় তাকে আটক করতে সক্ষম হই ও মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করি।
মরম আলী বলেন, হঠাৎ গ্রামের মধ্যখানে একজনের আত্বচিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে এগিয়ে যাই। এসময় আত্বচিৎকারী লোক তার মোবাইল ফোনটি একজন ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে এমটাই জানান। আমাদের গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটককারী আমাদের গ্রামের পাবেল। আমরা কেন তাকে দৌড়ে ধরে দিলাম এ কারণে সে (পাবেল) তার পিতা জামাল, চাচা কামালসহ লোকজন নিয়ে রাতেই আমাদের বাড়িতে এসে হামলায় চালায়। হামলায় আমাদের ৫জন আহত হন এবং ঘরে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা তারা নিয়ে যায়।
পাবেল মিয়ার চাচা কামাল মিয়া বলেন- কথাকাটাটির জেরে তাদের সঙ্গে হালকা মারামারি হয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত আছেন। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো মিথ্যা।
বিশ্বনাথ থানার এসআই বিনয় ভূষন চক্রবর্তি বলেন- ওসি স্যারের নিদের্শে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।